StudentBarta.com/Life Style ডেক্স
বর্তমানে ক্যান্সার এমন এক নীরব ঘাতক রোগ, যা বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দেরিতে ধরা পড়ে। অথচ রোগটি যত দ্রুত শনাক্ত করা যায়, তত দ্রুত চিকিৎসা শুরু করলে সুস্থ হওয়ার সম্ভাবনাও বেড়ে যায়। এবার বিজ্ঞানীরা এমন এক যুগান্তকারী রক্ত পরীক্ষা উদ্ভাবন করেছেন, যা ক্যান্সারের ঝুঁকি আক্রান্ত হওয়ার ৩ বছর আগেই শনাক্ত করতে সক্ষম!
কীভাবে কাজ করে এই নতুন টেস্ট?
এই বিশেষ ব্লাড টেস্টে রক্তের ভেতরকার প্রোটিন, ডিএনএ ফ্রাগমেন্ট ও অন্যান্য জটিল বায়োমার্কার বিশ্লেষণ করা হয়। এসব উপাদানের সামান্য অস্বাভাবিকতাও ভবিষ্যতে ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা সম্পর্কে ইঙ্গিত দেয়।

এর মাধ্যমে কোন কোন ক্যান্সার ধরা সম্ভব?
গবেষকদের মতে, এই টেস্ট মূলত নিচের বেশ কিছু মারাত্মক ক্যান্সার অনেক আগেই শনাক্ত করতে সক্ষম-
- ফুসফুসের ক্যান্সার
- লিভারের ক্যান্সার
- পাকস্থলীর ক্যান্সার
- স্তন ক্যান্সার
- কোলন বা বৃহদান্ত্রের ক্যান্সার
বিশ্বে কী ধরনের সাড়া ফেলেছে এই আবিষ্কার?
বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এই নতুন পরীক্ষার ট্রায়াল চলছে। চিকিৎসকরা মনে করছেন, এই টেস্ট কার্যকরভাবে চালু হলে লাখো মানুষের প্রাণ বাঁচানো সম্ভব হবে।

তবে মনে রাখবেন
এটি এখনও গবেষণার পর্যায়ে রয়েছে এবং সব দেশে সহজলভ্য হয়নি। তবে ভবিষ্যতে নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষার পাশাপাশি এই রক্ত পরীক্ষা ক্যান্সার প্রতিরোধে এক নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে বলে আশা করা হচ্ছে।
নিজেকে আর পরিবারকে সুস্থ রাখতে নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা করুন। ক্যান্সার আগেভাগে ধরা পড়লে চিকিৎসা অনেক সহজ হয়।
রাইটারঃ Mst.Kulsum Akter Shimu
সম্পাদকঃ
মোঃ নাইয়ার আযম, সহকারী অধ্যাপক(পদার্থবিজ্ঞান), মজিদা খাতুন মহিলা কলেজ,রংপুর।

নাইয়ার আযম একজন নিবেদিতপ্রাণ পদার্থবিজ্ঞানের সহকারী অধ্যাপক। তিনি মজিদা খাতুন মহিলা কলেজ,রংপুর এ কর্মরত আছেন এবং Studentbarta.com-ওয়েব সাইডের সম্পাদক। তিনি শিক্ষা ও অনলাইন শিক্ষার প্রতি গভীরভাবে অনুরাগী এবং নিয়মিতভাবে শিক্ষার্থীদের অনুপ্রাণিত করার মতো চিন্তাশীল লেখা প্রকাশ করেন। তার শিক্ষা জীবন শুরু হয় ক্যান্ট পাবলিক স্কুল থেকে এবং পরবর্তীতে তিনি কারমাইকেল কলেজ, রংপুর-এ উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করেন। বর্তমানে রংপুর সিটি-তে বসবাসরত নাইয়ার আযম সবসময় শিক্ষা, অনলাইন লার্নিং এবং শিক্ষার্থীদের দক্ষতা উন্নয়নে আগ্রহী। পদার্থবিজ্ঞানের জ্ঞানকে সহজবোধ্যভাবে উপস্থাপন এবং আধুনিক শিক্ষার সুযোগ প্রসারে তিনি বিশেষভাবে কাজ করে যাচ্ছেন।